শকুন্তলা দেবী কে আমরা চিনি "মানব কম্পিউটার" নামে। এবার বিশ্বের দ্রুততম "মানব ক্যালকুলেটর" হলেন আর এক ভারতীয়।তিনি নীলকান্ত ভানু প্রকাশ।
হায়দারাবাদের ভারতীয় বিদ্যা ভবন পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা শুরু।এখন দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে গণিত নিয়ে পাঠরত। প্রখ্যাত গণীতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজ তাঁর অনুপ্রেরণা।
মাত্র ২১বছর বয়সেই লন্ডনে আয়োজিত "মাইন্ড স্পোর্টস অলিম্পিয়াড" এ মেন্টাল ক্যালকুলেশন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপে সোনা জিতলেন তিনি।নিকটতম প্রতিযোগীর থেকে ৬৫ নম্বর বেশি পেয়ে প্রথম হন।বর্তমানে ৫০ টি "লিমকা বুক রেকর্ড"এ আর ৪টি বিশ্বরেকর্ড এর অধিকারী। সাধারণ মানুষের থেকে তাঁর মস্তিষ্ক ১০ গুন বেশি দ্রুততর।ভাবা যায়?😯😯😯
প্রচলিত ধারণা এটাই যে "Math is boring ", কিন্তু সেখান থেকে উত্তরণের পথটা যে কি,সেটা অনুধাবন করাটাই সবচেয়ে কঠিন। সেই ভীতি দূর করার জন্য তাঁর "Man vs Machine" আর "Math is Fun" কর্মশালার গুরুত্ব অপরিসীম। মস্তিষ্ককে কিভাবে ব্যস্ত রাখা যায়-এটাই তাঁর ভাবনা ছিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার দেবার সময় একই সাথে ৪৮ ঘরের নামতা পড়তে থাকেন। তাঁর কথায় "আমি যখন কথা বলছি তখন একই সাথে আমার পাশ দিয়ে যতগুলো ট্যাক্সি চলে গেছে সবগুলোর নম্বর আমি বলে দিতে পারব। কিংবা ধরুন, আমি একজনের সাথে যখন কথা বলছি তখন কতবার তিনি চোখের পলক ফেলছেন সেটা আমি গুনতে থাকি। এভাবে মস্তিষ্ককে সবসময় খাটানো যায়।''
সবাই ভাববে হয়তো জন্মগত প্রতিভা। কিন্তু মাত্র ৫ বছর বয়সে এক দুর্ঘটনায় মাথায় চোট পেয়ে এক বছরের জন্য বিছানাশয্যা হতে হয়। তারপর সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে এই সাফল্য। তাঁর কথায়,"কেউ দ্রুত ১০০মিটার দৌড়লে তাকে নিয়ে কোন প্রশ্ন হয়না। তাহলে দ্রুত অঙ্ক কষতে পারলে কেন সবাই অবাক হবে?"
ভবিষ্যতে তিনি "ভিশন ম্যাথ" নামে একটি গবেষণাগার তৈরি করতে চান, যেখানে ছোট ছেলেমেয়েদেরকে অঙ্কের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ গড়ে তোলা হবে। তাঁর মতে ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের মতোই গণিতচর্চাও একান্ত প্রয়োজন।
Hmm.... darun news eta dekhe6i.... kintu atoh ta details jantam na....amader moddhe erokom akta news share korar jonno dhonnobad
উত্তরমুছুন❤️❤️❤️ THANKS ❤️❤️2
উত্তরমুছুন